করোনার ধকল কাটিয়ে প্রায় পুরোপুরি স্বাভাবিক ব্যাংকিং লেনদেন কার্যক্রম। সরকারি বেসরকারি উভয় ব্যাংকেই বেড়েছে গ্রাহক উপস্থিতি ও ব্যাংকিং সেবা।
নগদ লেনদেন ছাড়াও আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য স্বাভাবিক হয়ে আসায় চাপ বেড়েছে এলসি বা ঋণপত্র খোলার।
বিশ্লেষকরা বলছেন, অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে ব্যাংকিং সেবার পাশাপাশি প্রণোদনার অর্থছাড় ও তা বাস্তবায়নে দক্ষতা বাড়াতে হবে ব্যাংকগুলোকে।
বেসরকারি টেক্সটাইল প্রতিষ্ঠানের কমার্শিয়াল ম্যানেজার মো. ওয়াজেদ আলী। রপ্তানির বিপরীতে এলসি খুলতে এসেছেন গুলশানের এই করপোরেট শাখায়। সেবা গ্রহণ শেষে জানালেন, ব্যবসায়িক কর্মকান্ড বাড়ায় স্বাভাবিক সময়ের মতো ব্যাংকিং লেনদেনের ব্যস্ততাও বেড়েছে।
সরকারি সোনালি ব্যাংক ঘুরে দেখা যায়, বেড়েছে গ্রাহক চাপ। লেনদেন হচ্ছে অনেকটা স্বাভাবিক সময়ের মতোই।
বেসরকারি ব্যাংকগুলোয়ও গ্রাহক উপস্থিতি এবং লেনদেনের পরিমাণ আগের তুলনায় বেড়েছে। যা স্বভাবিক সময়ের অন্তত ৯০ শতাংশ।
অর্থনীতি বিশ্লেষক ও ব্যাংকারদের মতে, আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে আসলেও সরকারের ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে আরো কার্যকর ভুমিকা রাখা প্রয়োজন ব্যাংকগুলোর।
মহামারীর এই সময়েও প্রবাসী আয়ে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। ফলে ব্যাংকগুলোতে বেড়েছে রেমিট্যান্স আদায়ের চাপও।